অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোয় ১০ লাখ হেক্টরের বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৭.৫ লাখ হেক্টর জমি বছরের বিভিন্ন সময় অনাবাদি থাকে। এই অনাবাদি জমিতে তেল বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি বিকাশে লবণাক্ততা একটি বাধা। এ জমিকে চাষের আওতায় আনলে লবণাক্ততার মাত্রা হ্রাস পাবে।
সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি ৪০ শতাংশ হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর অংশ হিসেবে বাগেরহাটে ৩ হাজার ৮’শ ৮০ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত এ জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বাত্মক সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষক-কৃষাণীদের সম্পৃক্ত করে কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এসব জমিতে সূর্যমুখী, তিল, সরিষা, সয়াবিন, চিনাবাদামসহ, ধান, ভুট্টা, গম, জব, বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ফল ও সবজি চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। প্রয়োজনে সার, বীজ ইত্যাদির পাশাপাশি প্রণোদনা সহায়তা করা হবে। সরকারি খাস জমিও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভূমিহীন ও অসচ্ছল কৃষকদের লীজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আজিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আমরা নিয়মিত প্রতিটি উপজেলায় কৃষক সমাবেশ করছি। পতিত জমি যে কোন মূল্যে দ্রুত চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে সংশিশ্লষ্ঠ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply